• বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তারেক রহমানের ৩১ দফা দেশের মানুষের মুক্তির সনদ -মজিবর রহমান সরোয়ার  বরিশালে ই‌লি‌শের প্রধান প্রজনন মৌসু‌মে মা ই‌লিশ সংরক্ষণ অ‌ভিযান উপল‌ক্ষ্যে নৌ র‌্যা‌লি উদ্বোধন  ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় “শক্তি” -সময়ের পরিবর্তন তারেক রহমানের হাত ধরেই আগামীর বাংলাদেশ সম্প্রীতি রক্ষার এক অনন্য নজির স্থাপিত হবে -সরোয়ার  আমরা সবাই একে-অপরের পাশে থেকে  দুর্গোৎসব পালন করবো -মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশালে মজিবর রহমান সরোয়ারের নামে ফেক আইডি থেকে মিথ্যা অপপ্রচার, প্রতিবাদের ঝড়  শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত -সময়ের পরিবর্তন  বরিশালে হিসাব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চলছে চক্রান্ত -সময়ের পরিবর্তন  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা ও মহানগরের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত -সময়ের পরিবর্তন  ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জিয়াউর রহমান কাজের মাধ্যমে এখনো মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন  -মজিবর রহমান সরোয়ার 

Reporter Name
প্রকাশিত : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপিতে মজিবর রহমান সরোয়ারই জনপ্রিয়তার শীর্ষে

কে এম শামছুদ্দোহাঃ জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে স্বাধীনতা পরবর্তী বিপর্যস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে স্বাধীনতা পদকসহ সব ধরনের পদক ও বিদেশে শ্রমবাজার চালু, গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা হয়েছিল শহীদ জিয়ার হাত ধরেই। দেশ পুনর্গঠনে তার অবদান অপরিসীম। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে বিএনপি আয়োজিত কয়েকদিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের সভাপতি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক হুইপ ও মেয়র আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ মজিবর রহমান সরোয়ার তার বক্তব্যে এ কথা বলেন। গত ৩০মে (শুক্রবার) বাদ জুমা জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ এবং মাগরিব বাদ পোর্টরোড কেরামতিয়া জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান পূর্ব বক্তব্যে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন,
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্মরণীয়। জিয়ার অবদান শুধু মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও উন্নয়নমুখী রাষ্ট্রে রূপান্তরের দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, যা আজও দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। আর। জিয়াউর রহমান কাজের মাধ্যমে এখনো বেঁচে আছেন কোটি প্রাণে। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান নিজেকে চেয়ারম্যান করে একটি নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করেন। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিএনপি ৩০০টির মধ্যে ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে। ১ এপ্রিল ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হয়। ৯ এপ্রিল পঞ্চম সংশোধনী কার্যকর হওয়ার পর সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়। দেশে আবার নির্বাচনী রাজনীতি চালু হয়। দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হওয়া জিয়াউর রহমানের সত্যিই একটি বড় অর্জন। সাবেক হুইপ মজিবর রহমান সরোয়ার আরো বলেন,জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগণের একটি নতুন জাতীয় পরিচয় হিসেবে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ প্রবর্তন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে বাংলাদেশের মতো একটি বহুবচন সমাজে মানুষ বিভিন্ন জাতিসত্তার এবং যেখানে তারা বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস করে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন জীবনধারা রয়েছে, সেখানে জাতীয়তাবাদকে ভাষা বা সংস্কৃতির পরিবর্তে ভূখণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা উচিত। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, লিঙ্গ, সংস্কৃতি এবং জাতি নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জাতীয় ঐক্য এবং একত্রীকরণের উপর জোর দেয়। দেশ পরিচালনায় জিয়ার পরিকল্পনাগুলো ছিল সরল, বাস্তবসম্মত এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে নিবেদিত। খাল কাটা থেকে শুরু করে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো, রাস্তার ধারে ফলের গাছ লাগানো, বাড়িতে মুরগির খামার এবং পুকুরে মাছ চাষের মতো উদ্যোগগুলো তার দূরদর্শিতার প্রমাণ। সেসব কাজগুলো যদি আজও সচল থাকতো তাহলে হয়তো বিদেশিদের কাছে আমাদের হাত পাতা লাগত না।মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন,
জিয়াউর রহমানের “খাল কাটা” কর্মসূচি ছিল বাংলাদেশের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের অসংখ্য খাল পুনঃখনন ও সংস্কার করা হয়। এর ফলে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি হয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা মেলে এবং গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়। এই উদ্যোগ কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করেছিল, বিশেষ করে ধান ও অন্যান্য শস্য। খালকাটা কর্মসূচিতে বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের অনেক কৃষক এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিয়মিত পানি সরবরাহ পেয়েছিলেন, যা তাদের বছরে একাধিক ফসল ফলাতে সাহায্য করে। এছাড়া খালগুলো নৌপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে গ্রামীণ বাজারে পণ্য পরিবহনকে সহজ করেছিল। এই কর্মসূচি শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এছাড়াও তিনি বরিশালের টেকসই উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। যা শেখ হাসিনার আত্মীয়রা করতে পারেনি।
প্রবীন এ রাজনীতিবিদ বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের এই উদ্যোগগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তার জনগণের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল শক্তি রয়েছে গ্রামীণ জনগণের মধ্যে। তার প্রতিটি পরিকল্পনা ছিল জনকেন্দ্রিক এবং বাস্তবসম্মত। তিনি শুধু নীতি প্রণয়ন করেননি, বরং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করেছিলেন। তার আমলে গ্রামীণ অবকাঠামো, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছিল।জিয়াউর রহমানের রোহিঙ্গা সংকটের ভূমিকা নিয়ে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, গত কয়েক দশক ধরেই রোহিঙ্গা সংকট বিষয়টি শুধুমাত্র বাংলাদেশই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও অত্যন্ত আলোচিত জটিল এক অধ্যায়। ২০১৭ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ সরকারের সময়ে এদেশে রোহিঙ্গাদের বেআইনিভাবে গণঅভিবাসন যে এক জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকটের সূত্রপাত করেছিলো তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এখনো এদেশ মুক্ত নয়। অথচ রোহিঙ্গাদের এই অভিবাসন ১৯৭৮ সালে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) তাঁর অসাধারণ তীক্ষ্ণ কূটনৈতিক দক্ষতায় শক্ত হাতে দমন করেছিলেন৷ তাঁর ঐ বিচক্ষণ কূটনৈতিক নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এক নতুনরূপে আবির্ভূত হয়েছিলো। জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মজিবর রহমান সরোয়ার আয়োজিত কর্মসূচি গুলোতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ছিল সরব উপস্থিতি। তাদের যেন মজিবর রহমান সরোয়ারেই আস্তা। গত ৩১মে নগরীর টাউন হল চত্বরে বড় ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়। তবে স্কুল এবং মসজিদ ভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গুলোতে নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের যেটুকু উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে তাতে আবারো প্রমাণ মিলেছে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপিতে আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ মজিবর রহমান সরোয়ারই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ।


এ ক্যাটাগরির আরও খবর

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১