নাহিদুল ইসলাম নাঈম, চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের ৫টি স্পর্ট জুড়ে তিন চাকার স্ট্যান্ড দখল করায় ঢাকা-বরিশাল এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতকারী দুরপাল্লার বাসগুলো যানজটে আটকে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টায়। পথোচারীরা চলাচলে ভোগান্তি প্রহাতে হচ্ছে। রোগীরা হাসপাতাল যেতে দুর্ভোগে পড়ছে। তিন চাকার যান মহাসড়কে চলাচল ‘নিষিদ্ধ’ থাকলেও শহরের মূল সড়কগুলোর জনতা রোডের পশ্চিম পাথা ভোলা টু চরফ্যাশন মহাসড়ক,মেইন সড়কে, থানা রোড, শরীফপাড়া স্টেলের ব্রীজ জুড়ে,হাসপাতাল সড়কের মাথায় এ সকল স্ট্যান্ড। আর তিন চাকার যানের দাপটের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রাণহানির ঘটনা অহরাহর ঘটেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানের সামনে ফুটপাতের দোকান,তার সামনে দাড়িয়ে থাকে রিকসা, কাস্টমার দোকানে ঢুকতে পারছেনা। কে শুনে কার কথা!
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়কে তিন চাকার বাহন না চালানোর নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্ত শুধু কাগজে-কলমেই রয়েছে বলে দেখা গেছে।বাস্তবে দেখা গেছে তারা আরো বেপরোয়া। সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাই শহরের মধ্যে স্ট্যান্ড করে দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে। আবার বিভিন্ন ক্রসিং দিয়ে প্রতি মুহূর্তেই এপার-ওপার চলাচল করছে নিষিদ্ধ তিন চাকার যান। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কিভাবে শহরের মেন স্পর্টে স্ট্যান্ড করে দখল করে রাখছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদেরকে পৌরসভা থেকে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড করে দেখ। নিষিদ্ধ এটা আমরা জানি না। রিকসা ড্রাইবারের গর্বের সাথে জানান, আগে টেক্স, চাদা দিতে হত এখন এগুলো দিতে হয় না, স্বত্ত্বিতে আছি। চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কঠোর হচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি বলেন, আমি মাত্রই শুনেছি মেনশহর জুড়ে রিকসা ষ্ট্যান্ড। পথোচারী এবং সড়কে বাস চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টি হয় এমন স্ট্যান্ড দেয়া যাবে না। আমি খোঁজ-খবর দিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।