কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ধানখালী ডিগ্রি কলেজ মাঠে ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক অধিকারকে লঙ্ঘন করেছে।”তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারবার আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। মোশাররফ বলেন, “তারেক রহমান বলেছেন, আমাকে ভোট দিতে হবে না, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে অবাধে তাদের ভোট দিতে পারে। এই লক্ষ্যে বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে।”

জনসভায় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। মোশাররফ অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনার সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫৮ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। আজ ব্যাংকগুলো ফতুর হয়ে পড়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা দেশের অর্থ পাচার করে কানাডায় ‘বেগম পাড়া’ বানিয়েছেন। এছাড়া, আওয়ামী লীগের সাবেক ভূমিমন্ত্রীর লন্ডনে ২৫৫টি বাড়ি পাওয়া গেছে, এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে এক লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায়ের ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ বিপর্যস্ত। দেশের ইতিহাসে কোনো নেত্রী অন্যায়ের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালায়নি, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখা হলেও তিনি পালিয়ে যাননি। জনগণকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া নেত্রীর পরিবর্তে আমরা এমন একটি নেতৃত্ব চাই, যারা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয়তাবাদী দলকে ক্ষমতায় আনুন।”

ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই জনসভায় কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন শিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ মিলিত হয়ে জনসভার আয়োজনকে বিশাল সমাবেশে পরিণত করে, যেখানে ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নের হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।