নাহিদুল ইসলাম নাঈম, চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনদিন জমি থেকে নিত্যনতুন ফসল উৎপাদনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন ভোলার চরফ্যাশনের চাষীরা। জেলা প্রথমবারের মত ব্ল্যাক বেবি জাতের তরজুম চাষে দিনগুণ লাভে(সাফল্যে) কৃষক আমির হোসেনর মুখে আট্রোহাসি ফুটে উঠেছে। অল্প খরচে তিনগুণ লাভ দেখে অন্যচাষীরা ব্ল্যাক বেরি তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন।
ভোলা মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি ফসল (সবজি) উৎপাদনের সেরা। । চলতি বর্ষার এই মৌসুমে কৃষক আমির হোসেন অর্ধলাখ টাকা খরচ করে প্রায় দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। তার খামারে এখনোও প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করা সম্বব। ব্যতিক্রম এই ফলস(তরমুজ) শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় দুই থেকে তিনবার উৎপাদন করা যায়। অন্যদিকে আমিনাবাদের ইউপি সদস্য আকতার মহাজন নিত্যনতুন ফসল উৎপাদনে বেশ সাফল্যে অর্জন করে বে-সরকারী সংস্থার মাধ্যমে এই পর্যন্ত ৪টি রাষ্ট্রে ভ্রমন করেছেন।
পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকে.এস.এফ) এর অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থা এর সহযোগিতায় পরিক্ষামূলক কৃষক আমির এই সর্ব প্রথম নিজের ২৪ শতক জমিতে ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজের বীজ বপণ করেন। কৃষক আমির হোসেন, দুই মাসের মাথায় তরমুজের ভালো ফলন পেয়ে বাজারে বিক্রি করতে পেরে সফল্যতা দেখে কৃষিকাজে উদ্ভোদ্ধ হয়েছে।
কৃষক আমির হোসেন বাজারে প্রতি কেজি বেবি তরমুজ ৮০/৯০ টাকা দরে তিনি বিক্রি করেন। এক একটি তরমুজের ওজন প্রায় ২ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও এসব বেবি তরমুজ চরফ্যাশন সদর উপজেলার শশীভূষণ ও ভোলা জেলা প্রতিটি দোকানে পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, ব্ল্যাক বেবি তরমুজ শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় দুই থেকে তিনবার এই চাষ করা যায়। শীতকালে মাটিতে ও অন্য সময় মাচায় এবং ছাদ বাগানীদের টবে চাষ করা যায়। একর প্রতি ১০০-১২০ গ্রাম বীজ দরকার হয়। ৬০-৬৫ দিনে ফসল উৎপাদন করা যায়। প্রতিটি ফল গড়ে ২ থেকে ৪ কেজি ওজন হয়।
তরমুজ চাষি আমির হোসেন বলেন, আগে তিনি সবজি চাষ করতেন। বিদেশি জাতের ‘ব্ল্যাক বেবি’ তরমুজ চড়া দামে বিক্রি হতে দেখে এই তরমুজ চাষ করা শুরু করেন। তিনি বেসরকারি সংস্থা পরিবার উন্নয়ন সংস্থা এর সহযোগিতায় এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। আগামী বছর ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ তিনগুণ বাড়িয়ে চাষ করব। তবে এই তরমুজ ভাল ফলন দেখে আশেপাশের অনেক কৃষক বেবি তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু। পরিবার উন্নয়ন সংস্থা এর সার্বিক সহযোগিতায় উচ্চ মূল্যের এ ফসল আবাদ করার মাধ্যমে কৃষকের অর্থনৈতিক সাফল্যে ফিরে আসছে।এই তরমুজ শীঘ্রিই বাজারে সাফল্যে অর্জন করবে।