নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, এ ভূখণ্ডের মানুষ যুগে যুগে বৈষম্যের শিকার হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে। বারবার আন্দোলন করে, জীবন দিয়ে মানবতার শত্রুদের পরাজিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেভাবে একাত্তরের স্বাধীনতার পরও দেশের মানুষ হতাশ হয়েছে। তেমনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরও আমরা দেখছি একটা মহল চাদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। দখলদারিত্ব শুরু করেছে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি।
আমরা এমন এক বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে এক মুঠো খাবারের জন্য কাক-কুকুরের সাথে ডাষ্টবিনে লটাই করবেনা। যেখানে জেলে-তাতী-কুমার-কামার সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যেখানে মানুষের অধিকার থাকবে, ঘুস ও অর্থ লোপাটের কবর রচনা হবে। কিন্তু চোরের মাধ্যমে কখনো চুরি বন্ধ হয়না। একইভাবে দুর্নীতিবাজের মাধ্যমে দুর্নীতি ও ধর্ষকের মাধ্যমে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব না। সুতরাং জনগণকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেসব দলের মধ্যে দুর্নীতিবাজ, চোর ও ধর্ষক আছে তাদেরকে প্রতিহত করুন। ভালো মানুষের পক্ষে জনমত গড়ে তুলুন।
আজ ১২ অক্টোবর’২৪ শনিবার বিকাল ৩টায় মুলাদী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলার আওতাধীন মুলাদী থানা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন শায়খে চরমোনাই।
তিনি বলেন একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে অনেকবার ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে কিন্তু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মানুষ এক স্বৈরাচার থেকে আরেক স্বৈরাচারের শোষণে শোষিত হয়েছে। সুতরাং এদেশের মানুষ এখন আর নতুন কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায়না। তিনি নতুন চাদাবাজ ও দখলদারত্বের হুশিয়ার করে বলেন, বিগত ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসীরা পালানোর সুযোগ পেয়েছে, নতুন কোনো সন্ত্রাসের জন্ম নিলে তারা পালানোর পথ খুজে পাবেনা।মুলাদী থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব এফ এম মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল জেলা সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, বরিশাল জেলা এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা কাওছারুল ইসলাম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা, থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।