ডেক্স রিপোর্টঃ জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনকে ঘিরে নিউ ইয়র্কে বসেছে বিশ্বনেতাদের মিলনমেলা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে কে নেই সেখানে? ১৯১ সদস্য-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তো বটেই, সেই মেলায় জড়ো হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের পদস্থ কর্মকর্তারাও। জাতিসংঘ আসরকে ফলো করছে বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকাসহ পাঠকনন্দিত দুনিয়ার প্রায় সব মিডিয়া। ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল খ্যাত নিউ ইয়র্কের সেই মঞ্চে নতুন এক পরিচয়ে উপস্থিত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘে তার পদচারণা বহু বছরের। কিন্তু এবারে বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসাবে অভিষেক হয়েছে তার। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। অবশ্য বিশ্বমঞ্চে বিরল সম্মাননাও পাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন ইউনূসময়। সেইসঙ্গে গৌরবের আসনে বাংলাদেশ। ৫৪ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি এবার এমন সব ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশকে ঘিরে। আরও খোলাসা করে বলছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে। বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ড. ইউনূস। সবখানেই তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। অনেককেই লাইন ধরে তার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্। ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে আলিঙ্গন করেন তিনি। সেইসঙ্গে আপ্লুত পিটার হাস্ হাসিমুখে ছবিও তোলেন। স্মরণ করা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালেই বাংলাদেশ মিশন সম্পন্ন হয় পিটার হাসের। তার পূর্ব-নির্ধারিত ফ্লাইটের দু’দিন আগে অর্থাৎ ২১শে জুলাই ছিল কূটনৈতিক ব্রিফিং। যেখানে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। জাতিসংঘের লোগোযুক্ত এপিসি থেকে নিরীহ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ নিয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও প্রশ্ন তুলেছিলেন।