আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ মজিবর রহমান সরোয়ার এ কথা বলেন। সাবেক হুইপ ও মেয়র আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ মজিবর রহমান সারোয়ার আরো বলেন,
শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও জিয়াউর রহমানের জীবনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সংকটে তিনি বারবার ত্রাণকর্তা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং দেশকে সে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি অস্ত্রহাতে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন। জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। তার গড়া সেই রাজনৈতিক দল তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত। জিয়াউর রহমানের বীরত্বগাথা জীবনী তুলে ধরতে গিয়ে মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ৩ নভেম্বর জেনারেল খালেদ মোশারফ এর নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে । তারপর গোটা জাতি আবার আতংকিত হয়ে পড়ে তৎ পরবর্তীতে জেনারেল জিয়াউর রহমান কে বন্দি করলে সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসার এবং সাধারণ সৈনিকদের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেইনি এবং জনগণ আবারো দুঃশাসনের আশঙ্কা করেন তাই সিপাহী এবং জনতা মিলে বন্দীদশা থেকে জিয়াকে মুক্ত করে দেশের দায়িত্বভার তুলে দেন। প্রবীন এ রাজনীতিবিদ মজিবর রহমান সরোয়ার আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতন্ত্রের প্রাণপুরুষ। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি।তার ছিল সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি।তিনি ছিলেন ভিশনারি, এক স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্তভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি।দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক।নানা কারণে তিনি দেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলী এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার সৈনিক। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কাছে তার যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল অন্য কোনো রাষ্ট্রনায়কের ভাগ্যে তা জোটেনি। এছারাও সাবেক হুইপ মজিবর রহমান সরোয়ার জিয়াউর রহমানের আমলে বরিশালের ব্যাপক পরিকল্পিত উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। আলোচনা শেষে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।