হিজলা প্রতিনিধিঃ বুধবার (৯ এপ্রিল) চোরাই গরু সন্দেহে উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের মান্দ্রা চর কুশুরিয়া গ্রামের আবদা নামক স্থানের মিরা বাড়ী থেকে ৩টি গরু আটক করে হিজলা থানা পুলিশ।গভীর রাতে এস আই আরাফাতের নেতৃত্বে যান পুলিশ সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল নেতা ইসমাইলও। তিনি জানান, চোরাই সন্দেহে পুলিশ ২৬টি গরু জব্দ করে। কিন্তু থানায় আনা হয় ৩টি গরু ও চোর সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে। অভিযোগ রয়েছে মূল অভিযুক্তকে না পেয়ে তার ভাই মোসলেম মীরকে থানায় আনা হয়। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে চুরি করে আনা গরু হেফাজত ও সব কিছু ম্যানেজ করার কথা বলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক নোমান ২ লাখ টাকা দাবি করলে তাকে নগদ দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়। এসময় ইসমাইলসহ ১০-১৫ জন লোক ছিলেন বলে উল্লেখ করেন মোসলেম মীর।
হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোঃ হোসেন শুক্রবার সকাল ৭টার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, বেলা আনুমানিক ১১টার সময়ে তাকে ৩ টি গরু ও দেড় হাজার টাকা দিয়ে থানায় পাঠানো হয় গরুগুলো থানায় পৌঁছে দিতে বলেন এস আই আরাফাত ।
গ্রাম পুলিশ সদস্য জানান, পুলিশ ও নেতারা ৩ লাখ নিলেও তিনি পেয়েছেন দেড় হাজার।
অভিযোগ রয়েছে, দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে গরুর সংখ্যা ও মূল অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
২৯ টি গরু জব্দ করলেও থানায় কেন ৩ টি এলো প্রশ্নের উত্তরে হিজলা থানার এস আই আরাফাত বলেন, ‘বাকি গরুগুলোর মালিক ৪ ভাই, কিন্তু ৩টির প্রমাণ দিতে না পারায় মোসলেম মীর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।’ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন এসআই আরাফাত।
মূল অভিযুক্তকে না এনে তার ভাইকে কেন আনা হল প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,
তাদের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নোমানকে মোসলেম মীর দেড় লাখ টাকা দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন এসআই আরাফাত ও হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালামও।
তবে নিজেরা আরও দেড়লাখ টাকা নেননি বলে দাবি করেন।টাকা নেয়ার বিষয়ে হিজলা উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইলের বক্তব্য, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, কোন টাকা লেনদেনের সাথে আমি জড়িত নই।’
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শামীম নোমানও অভিযোগ মিথ্যা এবং তাদের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন।