নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এবার বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেই বিতর্কিত সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেন এক অসহায় নারী। ওই নারী মিন্টুর কাছে ন্যায় বিচারের আশায় গিয়ে ন্যায় বিচার তো পাইনি বরং উল্টো হুমকি ধামকি এমনকি জীবন নাসেরও আশঙ্কায় ভুগছেন। এ কারণে হাসিনা(৪৬)নামের ওই নারী ৮নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে উত্তর কড়াপুরের মোতাহার হাওলাদারের ছেলে মোঃ জসিম (৪০) এবং মোতাহার হাওলাদারের ছেলে মোঃ মিন্টু মেম্বার (৫৮)-কে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে হাসিনার সাথে বিবাদী জসিম এর ভাই মোঃ শামিম এর সাথে দীর্ঘ ২৪ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। ইতিমধ্যে হাসিনার সংসারে ২টি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু হাসিনার স্বামী দ্বিতীয় বিবাহ করলে হাসিনা সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। হাসিনার ছেলে মোঃ নেয়ামত বানারীপাড়া কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। হাসিনা অসহায় হয়ে পরলে তার ছেলে মোঃ নেয়ামত তাহার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। ১নং আসামী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিন্টুর শেল্টারে থাকা জসিম এবং ২নং আসামী মিন্টু মেম্বার ষড়যন্ত্র করে বিগত ১ মাস পূর্বে হাসিনার ছেলের বই ও জামা কাপড় রেখে দিয়ে হাসিনার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ২নং আসামী মিন্টুর কাছে হাসিনা অসহায় হইয়া বাঁচার আকুতি জানালে মিন্টু এলাকার মেম্বার হওয়ায় হাসিনাকে তার স্বামীর বাড়ির এলাকায় গেলে ছেলে সহ খুন করবে বলে হত্যার হুমকী দেয়। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে জসিম ও মিন্টু মেম্বার প্রকাশ্যে হাসিনাকে হুমকি দিয়ে বলে তারা খুন করতে কোন ভয় পায় না, ইতিপূর্বে তারা অনেক খুন করেছে। সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাসিনার ছেলে মোঃ নেয়ামত এবং হাসিনার বোনের ছেলে মোঃ রাবিক (২৬) হাসিনার পূর্বের স্বামীর মোঃ নেয়ামত এর বাড়ি থেকে বই ও জামা কাপড় আনতে চাইলে ১নং আসামী জসিম হাসিনার ছেলে ও তার বোনের ছেলেকে মারধর করিয়া জখম করে। তাছাড়া ওই বাড়িতে গেলে হাসিনার ছেলেসহ হাসিনার পরিবারকে খুন করিয়া ফেলবে বলে আবারো হুমকী দেয়। হাসিনা অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, আসামীদ্বয় আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয় যে, আমরা ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মালা দিবে। ২নং আসামীর ভয়ে আমার ছেলে তাহার বাবার বাড়িতে যাইতে পারে না। ২নং আসামী ক্ষমতা দেখাইয়া ১নং আসামী হুমিক প্রদান করে। ২নং আসামী বলে যে, উল্লেখিত বিষয় থানায় মামলা করিলে আমাদেরকে বাড়িতে যাইয়া খুন করিবে। আসামীদ্বয়ের ভয়ে আমরা আতংকে আছি। আসামীরা আমার ছেলেদের কোন সম্পত্তি ও অধিকার দেয় না। অভিযোগের বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানায় তদন্তধীন।