কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সমবয় কর্মকর্তা মোঃ আব্বাছ আলীর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নামে এক লক্ষ্য টাকা ঘুষ দাবির প্রতিবাদে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৬১/১৬২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পেয়ে তিনি ভুয়া মনগড়া ভিত্তিহীন প্রতিবেদন দেওয়ায় ভুক্তভোগী আঃ রহমান বাদী হয়ে ৩১/১০/২৪ বৃহস্পতিবার কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক রায়ের আদালতে সি আর ১৪৫৭/২৪ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী আঃ রহমান বলেন আমি বাদী হইয়া বিগত ২৭/৬/২০২৩ এবং ২৬/৪/২০২৪ তারিখের ঘটনার আলোকে সি আর মামলা নং-৫৯২/২৪ এর আলোকে আসামি মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ খানের সাংসারিক ও পারিবারিক প্রয়োজনে আমার নিকট টাকা ধার চাহিয়া প্রস্তাব দিলে আমি রাজি না হইলে ১ নং আসামি ৩০০/= টাকা মূল্য মানের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে টাকা পয়সা সংক্রান্ত চুক্তিপত্র লিখিয়া স্বাক্ষর করিয়া আমাকে প্রদান করলে এবং দুই নং আসামী মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান আমাকে অনুরোধ করিলে আসামিদের কথা সরল বিশ্বাসে বিশ্বাস করিয়া ঘটনার প্রথম তারিখ ২৭/ ৬/২০২৩ তারিখ আমার বসত ঘরের সামনে বারান্দায় বসিয়া কতিপয় সাক্ষীদের মোকাবেলা ২ নং আসামী জিম্মাদার হইয়া ১ নং আসামিকে টাকা প্রদানের সুপারিশ করিলে আমি তাহার অনুরোধে আসামীকে নগদ ৩ লক্ষ বিশ হাজার টাকা ধার হিসেবে প্রদান করি আসামি টাকা বুঝিয়া পাইয়া লিখিত অঙ্গীকার করে যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৬/১২ ২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে আমার কাছে থেকে তিন লক্ষ বিশ হাজার টাকা এককালীন পরিশোধ করিয়া দিবে কিন্তু আসামির দেওয়ার সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরও আসামিরা টাকা পরিশোধ না করিলে আমি আমার নিয়োজিত বিজ্ঞ কৌশলীর মাধ্যমে ৮/৭/২০২৪ তারিখ টাকা চাহিয়া লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করি। আসামিরা নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করিলে বিগত ২৯/৪/২০২৪ ইংরেজি তারিখ দুজনকে আসামি করিয়া সি আর ৫৯২/২৪ বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ৫০৬(।।) ধারায় মামলা আনায়ন করিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কলাপড়া উপজেলা সমবায় অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। সমবায় কর্মকর্তা মামলার নথিপত্র প্রাপ্ত হইয়া আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হইয়া মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করিয়া ৫৯২/২৪ নং মামলার সঠিক তদন্ত না করিয়া সরজমিনে না গিয়া বিগত ২৩/৬/২৪ তারিখ আমাকে কাগজপত্রসহ তাহার কার্যালয় উপস্থিত হওয়া নির্দেশ প্রদান করিলে আমি ধার্য্য তারিখে তার অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ হাজির হইলে মামলার বিবাদিগন হাজির না হওয়াতে পুনরায় ৩০/০৭ ২৪ তারিখ পুনরায় আমাকে তার কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বললে ধার্য তারিখে আমি কাগজপত্র নিয়ে হাজির হই। উক্ত তারিখেও মামলার আসামি হাজির না হওয়ায় পুনরায় ২৪/ ১০/ ২৪ তারিখে আমাকে প্রয়োজনের কাগজপত্র সহ তার কার্যালয় উপস্থিত হওয়া নির্দেশ প্রদান করিলে ধার্য তারিখ ২৪ ১০ /০২৪ তারিখ আমি হাজির হইলে আসামিগন এই তারিখেও অনুপস্থিত থাকেলে তদন্ত কর্মকর্তা (উপজেলা সমবায় অফিসার) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আমার নিকট এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করিলে আমি তার চাহিদার মত ঘুষ দিতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করিবে বলে জানায় আমি তাকে ন্যায়ত: কাগজপত্র ও প্রমানাদি পর্যালোচনা করিয়া সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করিলেও উক্ত আসামি (উপজেলা সমবায় অফিসার) আমার প্রতি অসদাচরণ করিয়া গালমন্দ করিয়া সাক্ষীদের মোকাবেলা আমাকে তাহার অফিস হইতে বাহির করিয়া দেয় ও হুমকি দিয়ে বলে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে না পারিলে বিজ্ঞ আদালতে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন। আমি উক্ত বিষয়ে আমার নিয়োজিত বিজ্ঞানজীবীকে বিষয়টি অবহিত করলে বিজ্ঞ আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ন্যায় সংগত ৫৯২/২৪ নং মামলার তদন্ত দাবি করলে আসামি আজকাল ঘুরাইয়া দীর্ঘ ছয় মাস যাবত বাদীর কাগজপত্র পর্যালোচনা না করিয়া কাং্খিত এক লক্ষ টাকা ঘুষ না পাইয়া ৫৯২/২৪ নং মামলায় বাদীর বিপক্ষে অসত্য প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। যার কারনে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা (উপজেলা সমবায় অফিসার) এর বিরুদ্ধে উক্ত মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে সমবায় কর্মকর্তা আব্বাস আলী বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা সত্য নয়। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই পূর্বক ঘটনার সত্য ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি