চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশন বাজার পাইকারী ব্যবসায়ী আমির হোসেন পাওনা ১২লাখ টাকা চাওয়া দেনাদার ইসমাঈল ভূইয়া তার মাকে দিয়ে ভোলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্টে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। গতকাল শুক্রবার মামলার বিবাদী আমির হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পাওনা টাকা আদায়ে পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন,আমি বিল্লাহ বেকারী মালিক ইসমাঈল ভূইয়ার কাছে প্রায় ১২লাখ টাকা পাই। স্থানীয় মাতবরেরা উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে ১২লাখ টাকার স্থলে ৮লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তা প্রত্যাক্ষান করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন বাজারের পাইকারী বিক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে একই বাজারের বিসমিল্লাহ বেকারীর প্রোপাইটর মো ইসমাঈল ভূইয়া বেকারীর জন্য ময়দা, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন মালামাল কেনাকাটা করে লেনদেন করেন। ব্যবসায়ী আমির হোসেন বাকি খাতার হিসেবে ইসমাঈল ভূইয়ার কাছে প্রায় ১২লাখ টাকা পাওনা হয়। ২০২০সালে ইসমাঈল ভূইয়া বেকারীর ব্যবসায় বন্ধ করে দেয়া আমির হোসেন টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে স্থানীয় গন্যমান্যরা ১২লাখ টাকার স্থলে ১লাখ টাকা কমদিয়ে বাকি টাকা দিয়ে দিতে বলে।
আমির হোসেন অভিযোগ করে আরো বলেন, ইসমাঈল ভূইয়া আওয়ামীলীগের প্রভাব দেখিয়ে টাকা দেই দিচ্ছি বলে ঘুরা ঘুরি করে। ব্যবসায়ী আমির হোসেন টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বিএনপি করছোছ বলে হুমকি দেয়।
আমির হোসেন গত ৫আগস্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর গত ২২ সেপ্টেম্বর টাকা উদ্ধারের জন্য ইসমাঈল ভুইয়ার বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। স্থানীয় গন্যমান্য পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ড প্যানেল মেয়র তানভির আহমেদ ও দাইমোদ্দি হাওলাদার ফয়সালা করে দিবে মর্মে থানা থেকে দায়িত্ব নেয়। উভয়পক্ষের মনোনিত সালিশ তানভির আহমেদ, দাইমোদ্দি হাওলাদার অধ্যাপক ফারুক,ছালাউদ্দিন,নজরুল ইসলাম টিপু,জামাল হোসেন,্ ইদ্রিছ মিয়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর উভয়ের বাকি খাতার কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে টাকার হিসাব ঠিক থাকা সত্বেও সালিশগণ ব্যবসায়ী ইসমাঈল ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ৮লাখ টাকা দেবার সিদ্ধান্ত দেন। দেনাদার ইসমাঈল উক্ত টাকা দিবে স্বিকার করে ৩০ সেপ্টেম্বর ২৪ইং তারিখে ৩লাখ টাকা , পরে ৩০ নভেম্বর ৫লাখ টাকা দেয়ার সময় নেন। টাকা দেয়ার সময় ঘনিয়ে আসলে গত ১৬অক্টোবর দেনাদার ইসমাঈল ভূইয়া এবার ভিন্ন কৌশলে টাকা না দিতে তার মা” হাজেরা বেগম’কে বাদী করে ভোলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাওনাদার মোঃ আমির হোসেনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রাম্যভাষা কথা আছে- কোচে মাছেরে দৌড়ায় এখন মাছে কোচেরে দৌড়াচ্ছে।
এব্যাপারে চরফ্যাশন থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ইসমাঈলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীরা বসে ফয়সালা দেয়ার পরেও বিবাদী ইসমাঈল ভুইয়া অহেতুক বাদীকে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জেনেছি।
চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন,ব্যবসায়ী আমির হোসেনর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীরা ফয়সালা করার পরে শুনেছি উল্টো বাদীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। তদন্ত দিলে আমি সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য যেটা সেটার প্রতিবেদন দিবো।