দৌলতখান প্রতিনিধিঃ ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে লুটপাট ও সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করেছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনি। নিজেদের আখের গোছাতেই কাজে ব্যস্ত ছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সাথে সাথে তার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী এমপি সহ অনেকেই পালিয়েছে। শনিবার ১২ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় চরপাতা ইউনিয়ন চত্বরে মতবিনিময়ে সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম এ কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, চরপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিল উপজেলার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। তাকে তোফায়েল আহমেদ চেয়ারম্যান বানিয়েছিল। চরপাতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মন্নান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৈনিক খবর পত্রের নির্বাহী সম্পাদক আকবর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হোসেন তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু, চরপাতা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহিন মোল্লা প্রমুখ।তিনি বলেন তোফায়েল আহমেদ সংসদে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে এক রাতে ৫ লক্ষ লোকের প্রাণ যাবে। তবে একজন লোকও মারা যায়নি। এছাড়া বলেন দৌলতখানে ৮ টি পূজা মণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হচ্ছে । শান্তি বিনষ্ট করতে এমপি মুকুল সাহেব আটটি ছেলের কাছে আটটি পিস্তল দিয়ে বলেছেন পূজা মণ্ডপে গিয়ে পূজাকে বিনষ্ট করতে। গতকাল ১১ তারিখ দক্ষিণ জয়নগরে ওই পিস্তল সহ তাদের একজনকে পুলিশ আটক করেছে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন আপনারা দলীয় বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হন। সামনে আমাদের কঠিন সময় আসছে কেননা আওয়ামী লীগের সরকার সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমি দেশের বাইরে আছি যেকোনো সময় হুট করে ঢুকে পড়বো। তিনি আরো বলেন হাসিনা সরকার দেশটাকে দুইভাবে বিরক্ত করেছে একটি হল স্বাধীনতার পক্ষে অপরটি স্বাধীনতার বিপক্ষে অথচ দেখা যায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন বিএনপিতেই তাদের সংখ্যা বেশি।তিনি বলেন যারা যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের ভোট করার অধিকার আছে যারা অন্যায় করেছেন তারা এলাকায় নিজেদের প্রায়শ্চিত্ত না করে এলাকাবাসীকে মুখ দেখাবেন না। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন আইনকে হাতে তুলে নেবেন না যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে উপযুক্ত প্রমাণ সহ পুলিশের হাতে তুলে।অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম।