নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাংবাদিক আরিফুর রহমান সুমনের স্ত্রীর চিকিৎসা নিতে গিয়ে যে অব্যবস্থাপনা বা দূর্ভোগ দেখতে পেয়েছেন সেটি নিম্মে নিজের মতো করে তুলে ধরলেন বাবুগঞ্জের সাংবাদিক আরিফুর রহমান সুমন। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি গেট। হাসপাতালের ১ম (এমারজেন্সি গেট) এবং ২য় (মাঝের গেট) গেট। এ যাবৎকাল হাসপাতালের মূল ভবনে প্রবেশের জন্যই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এখনও একইভাবে এই দু’টি গেটই প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্প্রতি মেডিসিন বিভাগ (করোনাকালীন সময়ে যেটা করোনা ইউনিট হিসেবে চালু হয়েছিলো, অনেকে এখনও নতুন ভবন বলে থাকেন) করোনার পর থেকে সেখানে সরাসরি প্রবেশের জন্য যে গেট (৩য় নাম্বার গেট যেটা) করা হয়েছিলো, সেই গেটটা শুরুতে রোগীদের/সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও যানবাহন রিক্সা, মোটরবাইক, সিএনজি ইত্যাদি প্রবেশের ফলে গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার ফলাফলে ট্রলিতে করে রোগীকে বাইরে নিয়ে যাওয়া, স্ট্রেচারে করে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে রোগী ও তার স্বজনদের মেডিসিন বিভাগ থেকে ২য় মাঝের গেট পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়। যেটা অত্যন্ত ভোগান্তির ও কষ্টসাধ্য।
নানান ইস্যুতে মেডিসিন বিভাগে প্রবেশের জন্য গেটটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হলেও সেই গেটটি এখন জরাজীর্ণ। গেটের ভাঙ্গা অংশটুকু থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে আসা-যাওয়া করছে রুগী ও সাধারণ মানুষজন। এই গেট থেকে কোনোপ্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করার কঠোর নিয়ম করে নজরদারি করা হলে রোগীসহ সাধারণ জনগণের এতটা ভোগান্তি পোহাতে হতো না। হাসপাতালে যানবাহন অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি, মোটরবাইক, রিক্সা ইত্যাদি পার্কিং এর জন্য এবং প্রবেশের জন্য যথেষ্ট জায়গা হাসপাতাল এড়িয়ায় রয়েছে। নিজেদের সুবিধার কথা চিন্তা করে, সময় সাশ্রয় করতে শুধুমাত্র রোগীদের ভোগান্তিতে না ফেলে যানবাহন চালকরা আশা করি বিকল্প ও সহজবোধ্য পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। সাধারণ জনগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা করবেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ সকলের নিকট অনুরোধ থাকবে অতি দ্রুত মেডিসিন বিভাগে প্রবেশের জন্য গেটটি খুলে দেওয়া হোক এবং তা শুধুমাত্র রোগীদের/সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। একটা সঠিক সমাধানের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে ভোগান্তির হাত থেকে নিস্তার দেওয়া হোক।
ভোগান্তিহীন এবং যানজটবিহীন হাসপাতাল এড়িয়া আমাদের হোক এই প্রত্যাশা চিকিৎসা নিতে আসা সকল রুগির। এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বরিশাল ব্লাড ডোনার ক্লাব (বিবিডিসি)এর পরিচালক আলিমুর রহমান নিহাব জানান এ বিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা কোন প্রতিকার করেন নাই।