সময়ের পরিবর্তন ডেস্কঃ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে পূর্বের জায়গা-জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে রাতের আধারে ছাদেক মাওলানা বাড়িতে ভাঙচুর, হামলা করে প্রায় ১০লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ দুলাল গ্রুপের বিরুদ্ধে। বাড়িঘর ভাংচুর এবং লুটপাট করায় সময় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় হাজারীগঞ্জ ১নম্বার ওয়ার্ড হোসেন মুন্সি মসজিদ সংলগ্ন ছাদেক মাওলানার বাড়িতে এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে মোঃ আজাদ হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দুলাল গ্রুপের ৬জনের বিরুদ্ধে উপজেলার শশীভূষণ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন
হাসপাতালের বেডে আহত আজাদ হোসেন ও ছাদেক মাওলানা জানান,হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বখাটে দুলালের নের্তৃত্বে মোঃ জাহাঙ্গীর, নুরনবী, কহিনুর বেগম ও সামিমসহ ৮/১০জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রাত আনুমানিক ১০টায় সময় অর্তকিতভাবে আমাদের বাড়ির টিনের বাউন্ডারী এলোপাথারী কুপিয়ে ঘরের বিতরের প্রবেশ করে। তাদের ভয়ে ঘরে থাকা মহিলারা পেছনের কপাট খুলে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। ঘরে থাকা মোঃ সবুজ (২৫), মোঃ আজাদ (২৫) সাগর(২৩)ও এনামুল(২৭)কে পিঠিয়ে ঘরে থাকা সুকেজ,আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৭লাখ টাকা, একটি সোনার চেইন, ২টি সোনার আংটি নিয়ে যায়। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে।
ছাদেক মাওলানার বড় ছেলে মোঃ নিরব বলেন, আমরা কাজের তাগিদে ঢাকা থাকি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে চাকুরি করে মোঃ দুলাল। দুলাল যখন যে দল আসে তখন সে দলের ছত্রছায়া এলাকা জোড় জুলুম করাই তার কাজ। আমাদেরকে বাড়ি থেকে উৎখাত করতে তার লালিত বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমার পরিবার। আমাদের ঘর থেকে নগদ ও স্বণাংলকারসহ প্রায় ১০লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় দুলাল গ্রুপ। আমি প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।
প্রতিপক্ষ অভিযুুক্ত দুলাল গ্রুপের দুলাল বলেন, আমি মারধর ছাড়াতে গিয়ে হামলার শি^কার হয়েছি। আমাকেসহ ছাদেক মাওলানা গ্রুপের লোকজন ৩জন কে পিঠিয়ে আহত করেছে।
ছাদেক মাওলানা বলেন, আমি স্ত্রীসহ এক মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করি। আমার প্রতিপক্ষ কহিনুর, দুলালসহ একটি গ্রুপ আমাদের উপর এমনভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে যাতে আমরা বাড়িঘর ছেড়ে ছলে যাই। গতকাল মঙ্গলবার রাত অনুমানিক ১০টায় বাড়ির বাউন্ডারী কুপিয়ে ভেঙে চুরে ঘরে প্রবেশ করে ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ স্বণালংকার লুটে নিয়ে যায়। এদের অত্যাচার থেকে মুক্তিপেতে আমি পুলিশ প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারের শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদেরকে আইনের আওয়তা আনার অশ^াস প্রদান করেন।