নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ কাজিরহাট থানায় PR পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ নয় দফা দাবীতে উদয়পুর মুসলিম আকন্দ হাই স্কুল মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে বিগত দিনে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে সর্বদা সোচ্চার ছিলো, আছে এবং থাকবে। জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং সকল সহযোগী সংগঠনগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এতে সংগঠনের ২০ জন কর্মী শাহাদাত বরণ করেছে এবং প্রায় ৫ শতাধিক কর্মী আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন আছে।তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টদের ১৬ বছরে চর দখল চাঁদাবাজি হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিল কাজিরহাটবাসী। যেহেতু বৈষম্যের জের ধরে ফ্যাসিস্টদের পতন হয়েছে তাই ভবিষ্যতে যেন কোন নিরীহ ব্যক্তি হামলা-মামলা কিংবা নিপীড়নের শিকার না হয়।গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর পীর সাহেব চরমোনাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে দেশ সংস্কারে নয় দফা দাবী প্রস্তাব করেন। দাবী আদায়ে সকল জেলা, মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনুসকে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত PR পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং নয় দফা দাবী বাস্তবায়নের আহবান করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাজিরহাট থানা সভাপতি কারী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা কাজী মামুনুর রশীদ খান ইউসুফী।
গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বরিশাল জেলার দপ্তর সম্পাদক মাস্টার নুরুল হক মিয়া, হিজলা উপজেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক মাকসুদ, কাজিরহাট থানা সাংগঠনিক সম্পাদক কারী ইসহাক, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মোশারফ হোসাইন প্রমুখ।গণ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ও ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।