শিশুদের সৎ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। একটি জাতির ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে কি অসুন্দর হবে—তা নির্ভর করে শিশুদের বেড়ে ওঠার ওপর। তাদের যদি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তারা জাতিকে পথ দেখাবে। অন্যথায় তারা একেকজন দেশ ও জাতির অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
এ কথা অনস্বীকার্য যে শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। কারণ ধর্ম মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে পরিচয় করে দেয়। তাঁর আদেশ-নিষেধ ও পছন্দ-অপছন্দ জানিয়ে দেয়। উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতা শেখায়। গর্হিত স্বভাব ও কাজ থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে। এভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা একটি শিশুকে একজন নীতিমান মানুষে পরিণত করে। এ কারণেই ইসলামে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার প্রতি অত্যন্ত জোর দেওয়া হয়েছে।
গত ৮মার্চ (শুক্রবার) বিকেল ৪ টায় বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়াপুর নূরানী মডেল মাদরাসা, দক্ষিণ কড়াপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা এবং হাজী আব্দুর রাজ্জাক হিফজুল কুরআন মাদরাসা-লিল্লাহ বোর্ডিং ও ইয়াতিমখানা এর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ কালে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, দৈনিক বরিশাল বার্তা পত্রিকার সম্পাদক,
বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েসন (বাজুস), বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজসেবক, আলহাজ নুরুল আমিন তার সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, শিশুর ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টিকে ইসলাম বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। তাই মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের সন্তানদের ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা অর্থাৎ ইমান-আকিদা, আদব-আখলাক, বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দোয়া ও মাসায়েল শেখানো অভিভাবকদের জন্য ফরজ। আমাদের শিশুরা ভবিষ্যতে চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী যা-ই হোক না কেন, একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে তারা সব সময় সত্য ও সততার ওপর অবিচল থাকবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে।
মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব নুরুল আমিন অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে আহ্বান জানিয়ে বলেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে আপনাদের সন্তানদের ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হচ্ছে। আমার পক্ষ থেকে অত্র প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। সকলের সহযোগিতা থাকলে খুব শীঘ্রই দেশের অন্যতম মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচিতি লাভ করবে বলে আমি আশা রাখি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান, মোঃ ইউসুব আলী, মোঃ বারেক হাওলাদার, মোঃ বাবুল খান, মাওঃ আব্দুল জলীল, মাওঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ আবুল হোসেন, আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল, কাজী আব্দুল আজিজ সহ প্রতিষ্ঠানের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ।